শিরোনামঃ

সাংবাদিকের ওপর হামলা চালিয়ে অবরুদ্ধ : উদ্ধার করেছে পুলিশ


বরিশাল


মেঘনা নদীর ভাঙন কবলিত এলাকা থেকে অবৈধভাবে ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি কাটার ছবি ও ভিডিও করায় ইদ্রিস মাঝি ওরফে মরু নামের এক বিএনপি নেতার হামলার শিকার হয়েছে বরিশালের হিজলা প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়ামিন মোল্লা। 


এসময় আহত সাংবাদিককে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। খবর পেয়ে আজ সোমবার দুপুরে হিজলা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অবরুদ্ধ করে রাখা আহত সাংবাদিক ইয়ামিন মোল্লাকে উদ্ধার করেছেন।


অভিযুক্ত ইদ্রিস মাঝি ওরফে মরু হিজলা উপজেলার গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক। আহত সাংবাদিক ইয়ামিন মোল্লা দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার হিজলা উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।


বিএনপি নেতার হামলার শিকার সাংবাদিক ইয়ামিন মোল্লা জানান, উপজেলার মেমানিয়া ইউনিয়নে পশ্চিম ডাইয়া গ্রামটি মেঘনা নদীর ভাঙনের মুখে রয়েছে। প্রতিনিয়ত নদী ভাঙনের শিকার হয়ে ভিটা মাটি সবকিছু হারিয়ে ইতোমধ্যে অসংখ্য পরিবার বাস্তহারা হয়েছেন। 


তিনি আরও জানান, নদী ভাঙনের জন্য এলাকাবাসী নদী থেকে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন ও ইট ভাটার জন্য মাটি কাটাকেই দায়ী করেছেন।  আজ সোমবার সকাল থেকে গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইদ্রিস মাঝি ওরফে মরু নিজে দাঁড়িয়ে থেকে তার মেসার্স এসবিসি ব্রিকসের জন্য ভেকু দিয়ে নদী তীরের মাটি কাটাচ্ছিলেন। 


এসময় এলাকাবাসী বিএনপি নেতাকে মাটি কাটতে নিষেধ করা স্বত্বেও তিনি জোরপূর্বক মাটি কাটার কাজ অব্যাহত রাখেন। খবর পেয়ে তিনি (ইয়ামিন মোল্লা) ঘটনাস্থলে পৌঁছে মাটি কাটার ছবি তুলেন এবং ভিডিও ধারন করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বিএনপি নেতা ইদ্রিস মাঝি ওরফে মরু তাকে বেধরক মারধর করে ক্যামেরা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখেন। 


এসময় ঘটনাস্থলে থাকা এলাকাবাসী তাকে ইদ্রিস মাঝির কাছ থেকে উদ্ধারের চেষ্ঠা করে ব্যর্থ হয়ে থানা পুলিশকে খবর দেন।


হিজলা থানার এসআই মো. নুরুল ইসলাম নুর জানান, খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে পৌঁছে অবরুদ্ধ করে রাখা আহত সাংবাদিক ইয়ামিন মোল্লাকে উদ্ধার করা হয়েছে। 


এ সময় ইদ্রিস মাঝি পুলিশের সামনেই পত্রিকায় নিউজ হলে ইয়ামিন মোল্লাকে দেখে নেয়ার হুমকি প্রদর্শন করেন। 


এ ব্যাপারে হিজলা উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট দেওয়ারন মনির হোসেন বলেন, ইদ্রিস মাঝি ওরফে মরু বিএনপির বর্তমান কোন কমিটিতে নেই। এমন কোন ঘটনা ঘটলে তা খতিয়ে দেখে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

হিজলা থানার ওসি (তদন্ত) জাহিদুল ইসলাম বলেন, সাংবাদিকের ওপর হামলার খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই সাংবাদিককে উদ্ধার করে নিয়ে এসেছেন। এ ঘটনায় কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ###


 

বরিশাল

এই বিভাগের আরো খবর

অনলাইন ভোট

খবর সরাসরি ইনবক্সে পেতে চান?