শিরোনামঃ

৯ লক্ষ টাকার স্বর্ণ চুরি ,  ৩ মাসেও অগ্রগতি নেই মামলার

আবু তালহা রিমন

নগরীর মুন্সী গ্যারেজ একটি বাসা থেকে নয় লক্ষ টাকার স্বর্ণ চুরি মামলার তিন মাস পের হলেও কোন অগ্রগতি নেই বলে জানিয়েছেন ঐ মামলার বাদী কেয়া আক্তার। মামলার দুই জন আসামী নাম উল্লেখ থাকলেও এখন পর্যন্ত একজনকেও আটক করেনি কোতয়ালী থানা পুলিশ। ওদিকে প্রকাশ্যে ঘুরে বেরাচ্ছে আসামীরা। এর কারনে মামলায় প্রতিকার পাবে কিনা সংশয় দেখা দিয়েছে মামলার বাদীর।

এ বিষয় কোতয়ালী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) রুবেল আফ্রাদ বলেন চুরি মামলায় আসামী আটক করা উচিৎ ছিলো, কেনো করলো না আমি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার (আইও) কাছে জানতে চাইবো।

মামলা সূত্রে জানা যায় গত ১৩ এপ্রিল নগরীর মুন্সী গ্যারেজ এলাকায় খাদিজা ম্যানসন এর ৫ম তলার বাসিন্দা কেয়া আক্তারের বাসার ১ টি কক্ষ থেকে সাড়ে ৪ ভরি স্বর্ণ চুরি করে নিয়ে যায় চোরেরা।  


কেয়া আক্তার  জানান তার বাসায় ৬ জন সহপাঠীদেরকে আমন্ত্রন জানান তিনি। সহপাঠিদের মধ্যে সাওদিয়া লিমা নামের এক সহপাঠী বাদীর কামরায় অনেক সময় অবস্থান  করেন। বাকি সহপাঠীরা রান্না ঘরে অবস্থান করে। দুপুর ২ টায় তারা খাবার খেয়ে চলে যায়। রাতে   কেয়া আক্তার তার কামরায় ওয়ারর্ডোপ ওপর রাখা স্বর্ণের বাক্স খালি দেখতে পায়।

কেয়া আক্তার এ প্রতিবেদককে জানান আমার সাড়ে ৪ ভরি স্বর্ণ চুরি হয়েছে। এ মধ্যে ছিলো ২ টি স্বর্ণের চেইন। ১ টি ব্রেসলেট, ১ জোড়া কানেরদুল ও একাধিক আংটি। যার মুল্য ৯ লক্ষ টাকা। চুরি হওয়ার সময় আমার বাসার কামরায় ২ জন অবস্থান করেছিল। ১ জন আমার বাসার কাজের বুয়া রেহেনা বেগম। অন্যজন আমার সহপাঠী সাউদিয়া লিমা। প্রবেশ করা এ দুজনকে আমার অন্য সহপাঠীরাও দেখেছেন।

গত ৬  জুলাই বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানায় এ দুজনকে আসামী করে ১ টি চুরি মামলা  দায়ের করেন কেয়া আক্তার। মামলা নং ১৭। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) এসআই গোলাম মোহাম্মদ নাসিম হোসেন এর মুঠো ফোনে কল দিলে, তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।

এই বিভাগের আরো খবর

অনলাইন ভোট

খবর সরাসরি ইনবক্সে পেতে চান?