শিরোনামঃ

ভোলায় ‘মামলাবাজ’ ও চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীর বিচারের দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন




ভোলা প্রতিনিধি:


মাদকের ভয়াবহ আগ্রাসন থেকে ছাত্র ও যুব সমাজকে রক্ষার দাবিতে ভোলার চরসামাইয়া ইউনিয়নে শত শত এলাকাবাসী মানববন্ধন করেছেন। চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী, মামলাবাজ ও দেহ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত মাকসুদুর রহমান ওরফে মাকসু এবং তার সহযোগীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও মাদকের আস্তানা ভেঙে দেওয়ার দাবি জানান তারা।

মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে চরসামাইয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ছিদ্দিক বাজারে ‘সচেতন নাগরিক সমাজের’ উদ্যোগে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

 মানববন্ধনে উপস্থিত শত শত নারী-পুরুষ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর শুদ্ধি অভিযান, মাদক প্রবেশের রুট বন্ধ এবং চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান।


বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে চরসামাইয়া ইউনিয়নে মাকসুদুর রহমান ওরফে মাকসু ও তার স্ত্রী নাহার এর নেতৃত্বে একটি অসাধু চক্র মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছে। এতে তরুণ প্রজন্ম ধ্বংসের পথে যাচ্ছে এবং এলাকায় নৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতা সৃষ্টি হচ্ছে। অভিযোগ করা হয়, এই চক্রটি দেহ ব্যবসার সাথেও জড়িত, এবং কেউ প্রতিবাদ করলে তাদেরকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করা হয়।


মানববন্ধনে মাকসুর সম্বন্ধীর মেয়ে আঁকলিমা অভিযোগ করে বলেন, “ডাবের পানিতে নেশাজাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে আমাকে অজ্ঞান করে মাকসু খারাপ কিছু করার চেষ্টা করে। এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে এসে আমাকে উদ্ধার করে। পরবর্তীতে আমাকে নানা নির্যাতনের শিকার হতে হয়। আমি মাকসুর কঠোর বিচার দাবি করছি।”


এলাকাবাসীর তথ্য অনুযায়ী, চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী মাকসু এর বিরুদ্ধে একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। মাকসু ২০২২ সালের জি-আর নং: ৪২২/২০২২ ও চলমান মামলা নং: ৩৬(১) (মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে) মামলায় প্রায় দুই মাস কারাভোগের পর জামিনে মুক্তি পান।


গোপন সূত্রে জানা গেছে, মাকসু দীর্ঘদিন ধরে ঢাকার মিরপুর বিহারী ক্যাম্প থেকে মাদক সংগ্রহ করে ভোলার বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করতেন। এ কাজে তাকে সহায়তা করতেন চরসামাইয়া ইউনিয়নের সাবেক ৪নং আওয়ামী লীগ নেতা আমির পন্ডিত, ইউসুফ পন্ডিত ও মফিজ পন্ডিতসহ একটি প্রভাবশালী চক্র। তারা নিজেদের রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে মাকসুকে দিয়ে এলাকায় মাদক ব্যবসা পরিচালনা করাতেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।


বক্তারা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, “অবিলম্বে এই মাদক কারবারি ও দেহ ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় না আনলে সমাজের ভবিষ্যৎ আরও অন্ধকার হয়ে যাবে।”

তারা আরও জানান, ইউনিয়নকে নিরাপদ রাখতে হলে সমাজের প্রতিটি স্তরে সচেতনতা বৃদ্ধি ও কার্যকর আইন প্রয়োগ নিশ্চিত করা জরুরি।

এই বিভাগের আরো খবর

অনলাইন ভোট

খবর সরাসরি ইনবক্সে পেতে চান?