শিরোনামঃ

পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলার অভিযোগ মামার বিরুদ্ধে


ভোলা প্রতিনিধি।।

ভোলা সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের নাসির মাঝি এলাকায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে  হামলার শিকার হয়েছেন একজন দিনমজুর সিএনজি চালক। 


গত বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) সকালে তার বসত  ঘরের সামনে বারান্দা তুলতে গেলে হামলায় গুরুতর আহত হন আনোয়ার হোসেন (৪০)। অভিযোগ উঠেছে, তারই আপন মামা আবুল কালাম ও তার পরিবারের লোকজ মোঃ শরীফ, মোঃআরিফ, মোঃ রাকিব ও  স্ত্রী রানু বেগম ও মেয়ে শারমিন বেগম এ হামলা করে। এতে আলোয়ার হোসেন এর পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলা হয়।


প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আনোয়ার হোসেন তার মা ও নানীর ওয়ারিশি সম্পত্তিতে তিন বছর যাবত বসতঘর নির্মাণ করে বসবাস করে আসছে। গত বৃহস্পতিবার বসত ঘরের সামনে বারান্দা তুলতে  গেলে দীর্ঘদিনের জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে তার মামা ও মামাতো ভাইয়েরা বাধা দেন। একপর্যায়ে কথা কাটাকাটির পর তারা ধারালো অস্ত্র নিয়ে আনোয়ারের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। এতে আনোয়ার তার স্ত্রী ইয়াসমিন বোগম ও ছেলে শাকিলকে মারধর করে। হামলার একপর্যায়ে আনোয়ারের স্পর্শকাতর অঙ্গ কেটে ফেলা হয় বলে অভিযোগ ওঠে।

পরে ৯৯৯ এ ফোন দিলে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং স্থানীয়দের সহায়তায় তাৎক্ষণিকভাবে তাকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। আনোয়ার ও তার পরিবার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছেন।

আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী ইয়াসমিন বেগম বলেন, আমার স্বামী একজন গরিব মানুষ, সিএনজি চালিয়ে সংসার চালায়। বৃষ্টির পানি ঘরে প্রবেশ করায় আমাদের জমিতে ঘরের সামনেই একটি বারান্দা দিতে গেলে আমার মামা শশুর আবু তাহের ও তার পরিবার এমন হামলা করে। 


অভিযুক্ত মামা আবুল কালাম ও তার পরিবারের সদস্যরা পলাতক রয়েছে। তবে তার স্ত্রী রানু বেগম বলেন, আমাদের ঘরের সামনে ঘর তোলায় তাদের বাঁধা দেওয়া হইছে। তারা আমাদের ঘরের সামনে কেনো বারান্দা দিবে। 


এ বিষয়ে ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু শাহদৎ মো. হাচনাইন পারভেজ জানান, ৯৯৯ এর মাধ্যমে জানতে পেরে ঘটনা স্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। ভুক্তভোগীর পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছি। হামলাকারীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে। তারা পলাতক রয়েছেন।


স্থানীয়রা জানান, জমি নিয়ে বিরোধ বহু পুরোনো। প্রশাসনের হস্তক্ষেপ না থাকায় বিষয়টি এমন ভয়াবহ রূপ নেয়। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী দ্রুত দোষীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

এই বিভাগের আরো খবর

অনলাইন ভোট

খবর সরাসরি ইনবক্সে পেতে চান?