শিরোনামঃ

আওয়ামী লীগ-পুলিশ সংঘর্ষ  গোপালগঞ্জে জেলা জুড়ে চলছে ১৪৪ ধারা, গণ গ্রেফতারে জনমনে আতংক


স্টাফ রিপোর্টার, গোপালগঞ্জ : গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশ কেন্দ্র করে পুলিশের সাথে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় জেলা জুড়ে চলছে ১৪৪ ধারা। জনমনে স্বস্তি ফিরলেও রয়েছে আতংক। বিশেষ করে গণ গ্রেফতার আতংক ছড়িয়েছে শহর ছেড়ে গ্রামে। এমন সংহিসতা আর দেখতে চান না স্থানীয়রা।


গত ১৬ জুলাই এনসিপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে সহিংসতার রেশ এখনো রয়েছে জেলা জুড়ে। সকাল ৬টায় কারফিউ শেষ হলেও আওয়ামী লীগে ডাকা হরতালকে কেন্দ্র করে সারা জেলায় সকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা পযর্ন্ত জারি করা হয় ১৪৪ ধারা। তবে শিক্ষার্থী, পরীক্ষার্থী ও জুরুরী সেবাসমূহ আওতা মুক্ত থাকলেও নিষিদ্ধ ছিল সভা, সমাবেশ ও জনসভা। আওয়ায়মী লীগের জেলা হলেও হরতালের কোন প্রভাব পরেনি গোপালগঞ্জে। হরতালের সমর্থনে কোথাও কোন পিকেটিং বা মিছিল দেয়ার খবর পাওয়া যায়নি। তবে শহরের বেশির ভাগ সংখ্যক দোকান বন্ধ থাকায় ও সাধারন মানুষ বাইরে বের না হওয়ায় বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষেরা।


জেলায় ১৪৪ ধারা জারি থাকলে সময় মত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে বাস চলাচল স্বাভাবিক না থাকায় পরীক্ষা কেন্দ্র আসতে বিপাকে পড়তে হয়েছে শিক্ষার্থীদের। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গণ গ্রেফতার করছে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী। ফলে গ্রেফতারের ভয়ে আতংকে রয়েছে সাধারন মানুষ।


গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ কামরুজ্জামান জানান, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে জেলা জুড়ে টহল জোরদার করেছে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কাজ করা হচ্ছে। গণ গ্রেফতার নিয়ে তিনি বলেন, সাধারন মানুষ সয় যারাপ্রকৃত দোষী তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।


তিনি আরো, কারফিউ বা ১৪৪ ধারা নুতন করে জারি করা হবে কি না তা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।


গত ১৬ জুলাই এসসিপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সাথে দফায় দফায় সংঘর্শের ঘটনা ঘটে। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে গুলি চালালে ৫ জন নিহত হন ও আহত হন শতাধিক। এ ঘটনায় এখন পযর্ন্ত তিন হাজারেরও বেশি নেতাকর্মীকে আসামী করে ৪টি মামলা করেছে পুলিশ। আর গ্রেফতার করা হয়েছে ২৮৩ জনকে। #

এই বিভাগের আরো খবর

অনলাইন ভোট

খবর সরাসরি ইনবক্সে পেতে চান?