শিরোনামঃ

শার্শায় জামাত কর্মী উপর বিএনপির হামলা




 প্রতিনিধি:

যশোরের শার্শা উপজেলার লক্ষণপুর ইউনিয়নের বহিলাপোতা গ্রামে লুৎফর রহমান নামে এক জামায়াত কর্মীর উপর রাতের আঁধারে আক্রমণ করে পা ভেঙ্গে দিয়েছে বিএনপি কর্মীরা।



এলাকাবাসীর ভাষ্যমতে,লুৎফর রহমান ছাত্র জীবনে ছাত্র শিবির করতেন বলে জানা যায়। হাসিনার শাসন আমলে লুৎফর রহমান সকলের মতোই  নিজেকে আড়ালে রাখলেও হাসিনা সরকারের কর্মকাণ্ডে অসন্তোষ হয়ে ২৪ এর পট পরিবর্তনের বছর খানেক আগেই আবারো সক্রিয় হন জামায়াতে ইসলামীতে। 



এটাই এখন সর্বোনাশের কারন ডাঃ লুৎফর রহমানের।জামায়াতে সক্রিয় কেন হলো? এটা কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছে না অত্র গ্রামের ছেলে এবং ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন লিটন।


এর আগে লিটনের নির্দেশনায় তার লোকজন অনেক কয়বার লুৎফর রহমানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ এবং শারীরিক ভাবে আঘাত করে  । হত্যারও হুমকি দিত হরহামেশা।


২৩ তারিখে দিবাগত রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথে আচমকা গুপ্ত হামলা চালায় লিটন মেম্বারের খালাতো ভাই আহমদের ছেলে শাকিল। লিটন মেম্বার এবং তার গ্রুপ গংদের অত্যাচারে এখন অতিষ্ঠ লিটনের গ্রামের মানুষ।


টিসিবির চাল, ভেড়িদখল, চাঁদাবাজি,নিজ দলের বিপক্ষ গ্রুপের উপর বোমা হামলা  সহ অহরাহ অপরাধ করে যাচ্ছে কথিত এই বিএনপি নেতা। 


এলাকাবাসীর মনে এখন প্রশ্ন জাগতে শুরু করেছে প্রশাসনের চাইতেও কি শক্তিশালী লিটন? মহাপ্রলয়ে আইন আদালতের তোয়াক্কা না করে মনের ইচ্ছা মতো যা খুশি তাই করছেন লিটন।


নিজ দলের কর্মীর উপরে আক্রমণের তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়েছেন লক্ষণপুর ইউনিয়নের জামায়াতে ইসলামীর  আমির মাওলানা আবুল হাসান। 

মাওলানা আবুল হাসান জানিয়েছেন, অতি দ্রুতই সাংগঠনিকভাবে এই বিষয়ের পদক্ষেপ নেয়া হবে। 



স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করা হলেও এখনও কোন মামলা করা হয়নি তবে অতি দ্রুতই মামলার কাজ সম্পন্ন করবে বলে জানিয়েছে আহতের পরিবার।

এই বিভাগের আরো খবর

অনলাইন ভোট

খবর সরাসরি ইনবক্সে পেতে চান?