শিরোনামঃ

ভোলায় ছাত্রলীগ নেতা সাইফুল্লাহ আরিফ হত্যা: সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে নিহতের পরিবারের সংবাদ সম্মেলন



ভোলা প্রতিনিধি।।


ভোলা সদর উপজেলার নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি সাইফুল্লাহ আরিফ হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নিহতের পরিবার। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে ভোলা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিহত সাইফুল্লাহ আরিফের পিতা বশির উদ্দিন মাস্টার। এসময় উপস্থিত ছিলেন আরিফের মা রাবেয়া বশরী ও পরিবারের সদস্যরা।


বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ৩০ আগস্ট ভোরে ফজরের নামাজ পড়তে বের হলে তার ছেলে সাইফুল্লাহ আরিফের রক্তাক্ত মরদেহ বাড়ির সামনে পড়ে থাকতে দেখা যায়। কপাল ও মুখমণ্ডল ভাঙা অবস্থায়, হাতের কব্জি কাটা এবং রগ ছেঁড়া অবস্থায় মরদেহ পড়ে ছিল। পাশে তার মোবাইল ফোন রক্তে ভিজে পড়ে ছিল।


সংবাদ সম্মেলনে বশির উদ্দিন মাস্টার অভিযোগ করে বলেন, ঘটনার দু’দিন পর পুলিশ অজ্ঞাত আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করলেও তদন্তে গাফিলতি করছে। শুরুতে কয়েকজন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হলেও পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এমনকি পরিবারের সদস্যদের মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে কিছুই জানানো হয়নি।


তিনি আরও বলেন, ঘটনার ১৫ দিন পর পুলিশ একটি তদন্ত প্রতিবেদনে আরিফ ছাদ থেকে পড়ে দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে বলে দাবি করে। কিন্তু পরিবারের পক্ষ থেকে এ প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে বলা হয়, ছাদে সুরক্ষা ব্যারিকেট থাকায় কারও পক্ষে নিচে পড়ে যাওয়া সম্ভব নয়। এছাড়া পুলিশ সুপারের প্রতিবেদনে আরিফকে মাদকাসক্ত আখ্যা দেওয়ারও তীব্র প্রতিবাদ জানান তিনি।


সংবাদ সম্মেলনে নিহতের পরিবার অভিযোগ করে, পুলিশ ইচ্ছাকৃতভাবে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। তারা এখনও মামলার এজাহার কপি বা পোষ্টমর্টেম রিপোর্ট পাননি। অথচ পুলিশের পক্ষ থেকে বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়া হচ্ছে।


বশির উদ্দিন মাস্টার আরও বলেন, আমার ছেলে কখনও মাদকের সাথে জড়িত ছিল না। সে ছাত্রলীগের পদে থাকলেও কখনও ক্ষমতার অপব্যবহার করেনি। রাজনৈতিক ট্যাগ দিয়ে এই হত্যাকাণ্ড আড়াল করা যাবে না। খুনিরা যে দলেরই হোক না কেন, তারা খুনি।


আমার ছেলের সাথে সদর উপজেলা পরিষদ বাসিন্দা  আজিম গোলদারের ছেলে মাহি গোলদারের ঠিকাদারি কাজের সিডিউল নিয়ে বিরোধ ছিলো। মাহি গোলদার লোকজন নিয়ে আমার বাসায় এসে ঝামেলা করেছে। এবং ফিরোজের সাথে টাকা লেনদেন থাকায় কথা কাটাকাটি হয়। এ ছাড়াও স্থানীয় জুয়েলের সাথে ব্যবসার টাকা নিয়ে গড়মিল থাকায় আমার বাড়িতে এসে জুলেয় আমার ছেলেকে মারধর করে। পুলিশ তাদের সকলকে আটক করে পূনরায় ছেড়ে দেয়।


এসময় নিহত আরিফে মা রাবেয়া বশরী বলেন, আমার ছেলেকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমার ছেলে রাতে খাওয়া দাওয়া করে খালি গায়ে তার রুমে ঘুমিয়েছে। সে বাড়িতে থাকলে কখনো গায়ে জামা কাপর পরে না। কিন্তু ঔইরাতে কারা আমার ছেলেকে ঘর থেকে বের করলো। কার ডাকে আমার ছেলে শার্ট পরে ঘর থেকে বের হইছে...?  আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চাই। আমার ছেলের খুনের বিচার চাই। 


এসময় তারা একমাত্র ছেলের হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করতে মামলা দ্রুত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) অথবা সিআইডির কাছে হস্তান্তরের দাবি জানান এবং খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আহ্বান জানান।

এই বিভাগের আরো খবর

অনলাইন ভোট

খবর সরাসরি ইনবক্সে পেতে চান?