- প্রকাশিত: ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১০:৫৯ এএম
অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন:পিরোজপুররে সাহসী এক গণতন্ত্রযোদ্ধা
মোঃমামুন হাওলাদার শিমুল ইন্দুর কানী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি ঃ
অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন:পিরোজপুররে সাহসী এক গণতন্ত্রযোদ্ধা
অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন:পিরোজপুররে সাহসী এক গণতন্ত্রযোদ্ধা
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর আন্দোলন-সংগ্রামের ইতিহাসে পিরোজপুরের অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন এক অনন্য নাম। তরুণ বয়সে ছাত্রদল থেকে রাজনীতির হাতেখড়ি হলেও তার রাজনৈতিক জীবন ধীরে ধীরে রূপ নেয় গণতন্ত্র রক্ষার এক অদম্য যাত্রায়। বহু হামলা-মামলা, নির্যাতন ও কারাভোগ পেরিয়েও তিনি আজও দলের তৃণমূল থেকে জাতীয় রাজনীতি পর্যন্ত অনুপ্রেরণার প্রতীক হয়ে আছেন।
অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেনের রাজনীতির শুরু ছাত্রজীবনে। ছাত্রদল করতে করতেই তিনি রাজপথে সংগ্রামী চরিত্র গড়ে তোলেন। অন্যায়ের প্রতিবাদ, গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার রক্ষার লড়াইয়ে অগ্রণী ভূমিকা রেখে তিনি তরুণ কর্মীদের মাঝে দৃঢ় নেতৃত্বের পরিচয় দেন। সময়ের সাথে সাথে তার মধ্যে দৃঢ়তা, সাহস আর অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপসহীন মনোভাব স্পষ্ট হয়ে ওঠে। তিনি হয়ে ওঠেন জেলা বিএনপির নির্ভরযোগ্য নেতা।
বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তিনি বারবার নির্যাতনের শিকার হন। একের পর এক মিথ্যা মামলা, হামলা ও রাজনৈতিক হয়রানির লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হন তিনি। একাধিকবার গ্রেফতার হয়ে কারাগারে দীর্ঘ সময় কাটাতে হয়েছে তাকে। কারাগারে থাকাকালীনও তিনি হাল ছাড়েননি; বরং নেতাকর্মীদের সাহস যুগিয়েছেন। তার এই অটল মনোভাব কর্মীদের মাঝে ছড়িয়ে দিয়েছে নতুন উদ্দীপনা।
অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন শুধু সাংগঠনিক নেতা নন, তিনি কর্মীদের অভিভাবকও। হামলার শিকার কর্মীদের পাশে দাঁড়ানো, আইনি সহায়তা করা কিংবা পারিবারিক কষ্ট ভাগ করে নেওয়া—সবকিছুতেই তিনি ছিলেন অগ্রণী।
এক কর্মীর ভাষায়, “আমরা যখন নির্যাতনের শিকার হয়েছি, তখন আলমগীর ভাই-ই প্রথম আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তার সাহসই আমাদের বারবার রাজপথে ফিরিয়ে এনেছে।”
রাজনীতি তার কাছে ছিল কেবল ক্ষমতার লড়াই নয়, বরং জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যম। তার কথায়, “ব্যক্তিগত ক্ষতির চেয়ে দেশের ক্ষতি বড়। জনগণের অধিকার ফিরিয়ে না আনলে শান্তি নেই।” শিক্ষকতা পেশায় যুক্ত থাকলেও তিনি সর্বদা সমাজ ও মানুষের প্রতি দায়িত্ববোধকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। সততা, মানবিকতা ও ত্যাগের এই সমন্বয় তাকে আলাদা করেছে।
পিরোজপুরের রাজনীতিতে তৃণমূল কর্মীদের কাছে তিনি এক অটল ভরসা। আন্দোলন থমকে গেলে তিনি সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে কর্মীদের সাহস দিয়েছেন। তার দৃঢ় নেতৃত্বে একাধিক সংকট উত্তরণ করেছে জেলা বিএনপি।
স্থানীয় নেতাকর্মীদের বিশ্বাস, অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন আগামী দিনগুলোতেও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে নেতৃত্ব দেবেন। তার মতো ত্যাগী নেতার হাত ধরেই বিএনপি সংগঠিত হয়ে নতুন যুগের সূচনা করবে।
এই বিভাগের আরো খবর
-
রিয়াজুল হক সাগর, রংপুর ।বুড়িমারী স্থলবন্দর বিজিবি চেকপোস্ট এ পণ্য খালাসবাহী ট্রাকে ২৭২ কেজি সীসা ও ঔষধসহ ভারতীয় ট্রাকচালককে আটক...
-
মাসুদ রেজা ফয়সালঃআসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বরগুনার বামনা উপজেলায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের...
-
আবু তাহের, সদর উপজেলা (যশোর) প্রতিনিধি:যশোরে সিটি কলেজ শাখা ছাত্রদলের সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান (২৫)-এর ওপর প্রকাশ্যে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা...
-
রিয়াজুল হক সাগর, রংপুর।সাহিত্য জাতির পুষ্টি’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সৈয়দপুরে অনুষ্ঠিত হলো “নারীর ক্ষমতায়ন ও বৈষয়িক যাপন” শীর্ষক গবেষণামূলক...
অনলাইন ভোট
-
-
মায়ের জানাজার সময় গাজীপুরের বিএনপি নেতা আলী আজমকে হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে রাখার ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে বলেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। এ ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আপনি কি মনে করেন?
-
-
খেলাপি ঋণ কমাতে ব্যাংকঋণ পরিশোধে বাংলাদেশ ব্যাংক আবারও ছাড় দিয়েছে। এতে প্রকৃত খেলাপি ঋণ কমবে বলে আপনি কি মনে করেন?
খবর সরাসরি ইনবক্সে পেতে চান?
এখনই সাবস্ক্রাইব করুন প্রিয় বিষয়ের নিউজলেটার!