শিরোনামঃ

গোপালগঞ্জের প্রতিপক্ষের হামলায় শিশুসহ আহত-৩, বসত বাড়ী দখল করে নেয়ার অভিযোগ



স্টাফ রিপোর্টার, গোপালগঞ্জ : গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে প্রতিপক্ষের হামলায় শিশুসহ ৩জন আহত হয়েছে। এসময় প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে বসত বাড়ী দখল করে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১০ অক্টোবর) সকালে কাশিয়ানী উপজেলার পোনাগ্রামে এ ঘটনা ঘটে।


আহত নাসিমা বেগম বলেন, গত ২০২৪ সালে ডিসেম্বর মাসে সোহান ইসলামের কাছ থেকে ৯ শতাংশ জমি কিনেন তিনি। পরে ওই এলাকার আবুল কালাম মৃধা ওরফে কালু মৃধা ও তার স্ত্রী নাসরিন সুলতানা রুমা ২০০৫ সালে এই জমি কিনেছে বলে দাবী তুলেন। এ নিয়ে আদালতে একটি মামলা করেন নাসিমা বেগম।


এর জের ধরে শুক্রবার সকালে আবুল কালাম মৃধা ওরফে কালু মৃধা, তার স্ত্রী নাসরিন সুলতানা রুমা, কুকিল মৃধা, সামিম মৃধা, দুল্লা শেখ, সামিম শেখ, আলাল শেখ, সেলিনা বেগম, ইমরান মোল্যাসহ শতাধিক লোকজন নিয়ে আহত নাসিমা বেগমের বাড়ীতে হামলা চালায়। এসময় প্রতিপক্ষরা কুপিয়ে ও মারধরে নাসিমা বেগম, তার পুত্রবধু রূপা বেগম ও নাতনী তাবাসুম আহত হন। পরে বসত বাড়ী থেকে আসবাবপত্র, স্বর্ণালঙ্কারনহ বিভিন্ন মালামাল লুট করে তাদেরকে বাড় থেকে বের করে দেয়া হয়। এসময় নাসিমা বেগম কাশিয়ানী থানায় গিয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েও তাদের লুটপাট বন্ধ করতে পারেনি। দ্রুত এ ঘটনায় সাথে জড়িতেদের আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবী জানিয়েছে ভুক্তভোগীরা।


নাসিমা বেগমের পুত্রবধু রূপা বেগম জানান, হঠাত করেই সকালে আবুল কালাম মৃধা ওরফে কালু মৃধা ও তার স্ত্রী নাসরিন সুলতানা রুমা তাদের লোকজন নিয়ে আমাদের বাড়ীতে হামলা চালায়। আমার কিছু বুঝে ওঠার আগেই ঘরে ঢুকে আসবাবপত্র, স্বর্ণালঙ্কারসহ বিভিন্ন মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। পরে আমাদের বাড়ী থেকে বের করে দেয়। এসময় হামলায় আমার শ্বাশুড়ী নাসিমা বেগম, আমার মেয়ে তাবাসুমসহ আমি আহত হই। আমার শাশুড়ীকে গোপালগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আমি এ ঘটনার দৃষ্টান্তমুলক বিচারের দাবী জানাই।


নাসিমা বেগমের মেয়ে জামাই ইমরান মোল্যা জানান, আবুল কালাম মৃধা ওরফে কালু মৃধা ও তার স্ত্রী নাসরিন সুলতানা রুমা তাদের লোকজন নিয়ে আমার শাশুড়ীর বাড়ীতে হামলা চালায়। এসময় তাদের মারধর করে মালামাল লুট করে। আমার শ্বাশুড়ি কাশিয়ানী থানায় গেলেও পুলিশ কোন ভৃমিকা নেইনি। পুলিশ সঠিক সময়ে ভূমিকা নিলে এমন ঘটনা ঘটতো না। আমি হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে বিচারের দাবী জানাই।


এঘটনায় অভিযুক্ত আবুল কালাম মৃধা ওরফে কালু মৃধার সাথে বিভিন্নভাবে যোগোযোগের চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। ফলে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।


কাশিয়ানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: কামাল হোসেন বলেন, বসত বাড়ির জমি নিয়ে আগেই থেকেই ঝামেলা রয়েছে দুই পক্ষের মধ্যে। নাসিমা বেগম থানায় এসে মৌখিক অভিযোগ করলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। তাদেরকে অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। তবে এখন পযর্ন্ত তারা কোন অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। #

এই বিভাগের আরো খবর

অনলাইন ভোট

খবর সরাসরি ইনবক্সে পেতে চান?