শিরোনামঃ

গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো. মিকাইল শেখের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী হামলা ও চাঁদা দাবীর অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন



নিজস্ব প্রতিবেদক, গোপালগঞ্জ : গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো. মিকাইল শেখের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী হামলা, চাঁদা দাবী, ভাঙচুর ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছে সাভানা ইকো রিসোর্ট এন্ড ন্যাচারাল পার্কের লীজ গ্রহীতারা।


আজ শ‌নিবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে সদর উপ‌জেলার বৈরাগীটোল গ্রামে সাভানা ইকো রিসোর্ট এন্ড ন্যাচারাল পার্কে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাভানা ইকো রিসোর্ট এন্ড ন্যাচারাল পার্কের ইজারাদার হীরক রায়। 


সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে লীজ গ্রহীতা হীরক রায় বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সুনামের সঙ্গে পার্কটি পরিচালনা করে আসলেও গত ১০ ডিসেম্বর বিকালে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো. মিকাইল শেখসহ ৩ জন অজ্ঞাতনামা যুবক পার্কে বিনা টিকিটে প্রবেশ করেন। পরে সুইমিং পুল এলাকায় গিয়ে তিনি নিরাপত্তাপ প্রহরী কাছে পার্ক ইজারাদারের মোবাইল নম্বর চায়।


কিন্তু নিরাপত্তা প্রহরী তা দিতে অস্বীকৃতি জানালে পার্কের শেয়ার হোল্ডার ও কর্মচারীদের গালিগালাজ করেন। পরে পার্কের দোকান কর্মচারী ফয়সালকে গালিগালাজ ও মারধর করেন পাঁচ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি। চাঁদা না দিলে পার্ক ভাঙচুরের হুমকিও দেয়।


তিনি আরো বলেন, পরে মিকাইল হোসেন ও তার লোকজন পার্কের ৭নং কটেজে অবস্থান করে মাদকদ্রব্য সেবন এবং কক্ষের টিভি ভাংচুর করেন। তখন ফয়সাল বিষয়টি পার্কের শেয়ার হোল্ডার হিমেল দাঁড়িয়াকে ফোনে জানান। তখন ফয়সালের আত্মীয় স্বজন ও এলাকাবাসী বিষয়টি জানতে পেরে বিভিন্নভাবে পার্কের ভিতরে প্রবেশ করে। তখন তারা মিকাইলসহ ওই তিন যুবককে খোঁজেন। এ বিষয় পার্কের ইজারাদারেরা বৌলতলী পুলিশ ফাঁড়িতে অবহিত করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়।


তিনি আরো বলেন, পরে মিকাইল ও তার সাথের তিন যুবক নেশাগ্রস্ত অবস্থায় পার্কের বাইরে এসে বহিরাগতদের সাথে বিতন্ডায় জড়ান এবং এক পয্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মামলা না করার হুমকি দিয়ে নামে ও বেনামে তাকে প্রাণ নাশের হুমকী দেয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন। এ ঘটনায় তিনি জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ছাত্রদলের সভাপতি মিকাইল হোসেনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানান।


এ বিষয়ে অভিযুক্ত জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মিকাইল হোসেন মুঠোফোনে জানান, আমার বিরুদ্ধে কাথাও মাদকের মামলা নেই। রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় আমার এসব মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে।


গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. হাবিবুল্লাহ বলেন, এ বিষয়ে ছাত্রদলের সভাপতি একটা অভিযোগ দিয়েছে, এবং সাভানা ইকো রিসোর্ট এন্ড ন্যাচারাল পার্ক কর্তৃপক্ষ অভিযোগ দিবে বলে আমাকে জানিয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


প্রসঙ্গত, সাভানা ইকো রিসোর্ট এন্ড ন্যাচারাল পার্কটি পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজির আহমেদের মালিকানাধীন ছিল। বিগত সরকারের আমলে সংখ্যালঘুদের সম্পত্তি জোর করে দখল ও বিক্রি করতে বাধ্য করা সহ নানান দুর্নীতির অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। দুর্নীতি তেমন কমিশন (দুদক) তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। পরে আদালত ওই পার্কের সকল সম্পত্তি ক্রোকআদেশ দেন। এরপর সরকার রিসিভার নিয়োগ দেয়। এরপর কর্তৃপক্ষ কার পার্ক ইজারা প্রদান করে। #

এই বিভাগের আরো খবর

অনলাইন ভোট

খবর সরাসরি ইনবক্সে পেতে চান?