Report71

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বরিশালের গৌরনদীতে এক যুবদল নেতার একমাত্র ছেলের মৃত্যু রহস্য অধরাই থেকে গেছে। এনিয়ে যুবদল নেতার পরিবারের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে এখনো স্বাভাবিক হতে পারছেনা পরিবারটি। নিহতের পরিবার হত্যাকান্ডের অভিযোগ না করলেও মৃত্যুটি রহস্যজনক দাবী করে মৃত্যু রহস্য উদ্ঘাটনের দাবী করেছেন। 

রোববার দুপুরে নিহতের বাবা উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাউদের খাল এলাকার বাসিন্দা স্বপন সরদার জানান, গত ২২ জুন সন্ধ্যায় তার একমাত্র ছেলে অনিম সরদারকে (২২) বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় দক্ষিণাঞ্চলের শীর্ষ মাদক কারবারি হীরা মাঝির বিশ্বস্ত সহযোগী অপর মাদক কারবারি শাওন দেওয়ান। ওই দিন সন্ধ্যা থেকে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত শাওন ও অনিম নিলখোলা এলাকার হীরা মাঝির বাসায় অবস্থান করছিল। 

একইদিন রাত ১২টার দিকে আমাকে জানানো হয় সাউদের খালপাড় এলাকায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আমার ছেলে অনিম গুরুতর আহত হয়েছে। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। খবরপেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দুর্ঘটনার কোনো আলামত পাইনি। গত ২৩ জুন বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় অনিম।

যুবদল নেতা স্বপন অভিযোগ করে বলেন, মাদক কারবারী হীরা মাঝির নিলখোলার বাসা সম্পূর্ণ সিসিটিভি ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ছিলো। তবে ঘটনার পর সিসিটিভির হার্ডডিক্স গায়েব হয়ে গেছে। আমরা বহুবার সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে চেয়েছি কিন্তু হীরা মাঝি আমাদের কোন সিসিটিভি ফুটেজ দেখায়নি। যে কারনে মৃত্যুটি রহস্যজনক বলে মনে হচ্ছে। ওই সিসিটিভির হার্ডডিক্স হীরা মাঝির কাছে রয়েছে। সেটা হাতে পেলেই বিস্তারিত জানা যাবে। একমাত্র ছেলের মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটনে তিনি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে হীরা মাঝি জানিয়েছেন, অনেকদিন যাবত তার বাসায় সিসিটিভির লাইন নেই। আর মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হয়ে মারা গেছে অনিম। ওই দূর্ঘটনায় তার স্ত্রী এবং মোটরসাইকেল চালক শাওন আহত হয়েছিলো। 

গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. তরিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, বিষয়টি আমার যোগদানের পূর্বের। এঘটনায় কোন লিখিত অভিযোগ থানায় নেই। অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।