শিরোনামঃ

চরকাউয়া গ্রামে সরেজমিনে পরিদর্শন করে কৃষকদের সমস্যাগুলো শুনেন বরিশাল জেলা প্রশাসক মোঃ দেলোয়ার হোসেন।

বরিশালের চরকাউয়া এলাকার প্রায় আড়াই হাজার একর অনাবাদি ফসলি জমি দেখতে সরেজমিনে ছুটে যান বরিশাল জেলা প্রশাসক সহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ। গতকাল আজ বিকেল ৪টায় বরিশাল জেলা প্রশাসক মোঃ দেলোয়ার হোসেন এর নেতৃত্বে বরিশাল সড়ক জনপদের অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ নাজুল ইসলাম, জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা, সদর এসিল্যান্ড, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইকবাল হাসান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা উত্তম ভৌমিক সহ কয়েকজন সারভেয়ার সরেজমিন পরিদর্শন করেন। সরেজমিনে দেখা গেছে, চরকাউয়া জিরো পয়েন্টে নির্মাণ ত্রুটির কারণে ৭০ ফুট দৈর্ঘ্যের একটি কালভার্ট কৃষকদের কৃষি চাষাবাদে বাধাগ্রস্ত হয়ে যায়। যে কারণে কয়েক হাজার একর ফসলি জমি বছরের প্রায় মাস পানির নিচে থাকার ভুক্তভোগী ৩৬৭ জন কৃষক জমির মালিক রোববার জেলা প্রশাসকের কাছে সাক্ষর সম্বলিত একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন। জেলা প্রশাসক সবার দুর্দশার কথা শুনে সহমর্মিতা প্রকাশ করেন এবং সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।


 



খুলনা-বরিশাল-ভোলা-চট্টগ্রাম জাতীয় মহাসড়ক নির্মাণ করতে গিয়ে সড়কটির চরকাউয়া এলাকায়  প্রয়োজনীয় কালভার্ট সহ পয়ঃ নিষ্কাশন ব্যবস্থা তৈরি না করায় বিশাল এলাকায় বৃষ্টির পানি পাশের কীর্তন খোলা নদীর পানি বছরের মাসেরও বেশী সময় আটকে থাকছে। ফলে অন্তত আড়াই হাজার একর জমি বছরের মাসের বেশি সময় অনাবাদি থাকছে। ফলে কয়েক হাজার পরিবার চরম মানবিক বিপর্যয়ের কবলে। কালি খোলা থেকে দূর্গাপুর পর্যন্ত কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এবং দেড় কিলোমিটার প্রশস্ত তিনটি ফসলি জমির দীর্ঘ ১২ বছর ধরে ফল উৎপাদন করতে পারেনি ওই এলাকার কৃষকরা। স্থানীয় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মনিরুল ইসলাম ছবির উদাসীনতায় কৃষকরা এক যুগ ধরে জমি থাকলেও ফসল চাষাবাদ করতে পারেনি। যে কারণে ফসলি জমি জুড়ে এখন কচুরীপানা আর জঙ্গলের স্তুপের পাশাপাশি খালগুলোতে কচুরিপানা সহ পানির প্রবাহ নেই বললেই চলে। নাপিত বাড়ির সামনে খালে পানি প্রবেশদ্বারে বসতঘর উত্তোলন করায় প্রাথমিকভাবে প্রানি প্রবাহ সেখান থেকেই বাধাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। উপস্থিত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিষয়টি সরেজমিনে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন




এই বিভাগের আরো খবর

অনলাইন ভোট

খবর সরাসরি ইনবক্সে পেতে চান?